Close
Exit

মানব পাচারকে তিনটি ভাগে সংজ্ঞায়িত করা যায় :

১) কোন ব্যক্তিকে পরিবহন, অধিষ্ঠিত অথবা নিয়োগ করা

২) বলপ্রয়োগ,প্রতারণা, ধোঁকাবাজি অথবা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে

৩) শোষণের উদ্দেশ্যে, যার মধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক দিনমজুর, ঋণ দাসত্ব,দাসত্ব,পতিতাবৃত্তি এবং অন্যান্য

“ছাত্র পাচার” বিষয়টি বলতে  আসলে কি বোঝায়? এটি কি কোনও প্রকৃত শব্দ?

বিষয়টা আসলে তা না। আমরা এই বিষয়টা তুলে ধরেছি কারণ আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছি যে এইখানে একটা সমগ্র চক্র এবং ব্যবসা আছে যেটা শিক্ষার্থীদের পাচারের জন্য দেশের বাহিরের  নিম্নমানের বাজে কলেজগুলোতে  নিযুক্ত করে, তারপর তাদেরকে শোষণ করা (বিশেষ করে সস্তা শ্রম) শুরু করে যখন তারা বিদেশের মাটিতে পা রাখে। মাদক পাচার এবং যৌন পাচারের মত নাম থাকলে সেটার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সহজ হয় বলেই একে এই নাম দেয়া হয়েছে।

সেইসব শিক্ষার্থীদের বিষয়টা কেমন হবে যারা জানতেন যে তারা অপপদ্ধতি ব্যবহার করছেন?

হ্যাঁ, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে কিছু আছে যারা পাচারকারীদের সাথে এইখানে এসে কাজ করার উদ্দেশ্যেই এসেছেন, যাদের সাথে আমরা কথা বলেছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা মানব পাচারের শিকার নয়। তাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা প্রতারণা এবং শোষণের শিকার হয়েছে এইখানে আসার পর, এবং এমন পরিস্থিতিতে তাদের ঠেলে দেয়া হয়েছে যেখান থেকে তারা বের হয়ে আসতে অক্ষম। মানব  পাচার-বিরোধী এবং অভিবাসী চোরাচালান-বিরোধী আইন ২০০৭ (ATIPSOM) অনুযায়ী ,”সম্মতি অপ্রাসঙ্গিক”

ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই ‘দালালদের’ মাধ্যমে পাচার হয়েছে। এই ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায় কতটুকু?

ATIPSOM অনুযায়ী , কলেজের মালিকরা অপরাধে অভিযুক্ত হবে যদি তারা “পাচারক্রিত ব্যাক্তির শোষণের অংশ থেকে লাভ করে”। দণ্ডবিধি অনুযায়ী ,১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা ১০ লাখ রিংগিত পর্যন্ত ,অথবা সকল লাভ বাজেয়াপ্ত করা হবে যা তারা শোষণ করে পেয়েছে।

কর্তৃপক্ষ কি এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে?

উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনেকগুলো জড়িত  কলেজ কে খুঁজে বের  করেছে, কিন্তু তারা অন্যান্য নাম ব্যবহার করে বের  হয়ে আসছে, অথবা তারা ক্ষতিগ্রস্তদের  অন্য  “সম্বন্ধযুক্ত” কলেজে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এছাড়াও উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রানালয়(MOHE) থেকে শিক্ষা ভিসার অনুমোদন অনেক কমিয়ে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ থেকে, ২০১৫ তে ২৩০০০ থেকে কমিয়ে ২০১৭ তে ১১০০ তে নিয়ে আসা হয়েছে ।

আমরা কিভাবে সাহায্য করতে পারি?

আপনারা সবাই বিষয়টা ছড়িয়ে দিতে পারেন।  উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়(MOHE) এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা(NGO)  R. AGE এর সাথে কাজ করে যাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের সনাক্ত করতে যাতে তারা পড়াশুনা শেষ করতে পারে,  বৈধ শ্রমিক হতে পারে অথবা নিজের দেশে ফেরত যেতে পারে ।আমাদের পোস্টগুলো শেয়ার করতে ভিজিট করুন-  rage.com.my/trafficked  অথবা fb.com/studenttrafficked

About

Go top